হালাল ফ্রিল্যান্সিং

একজন মুসলিম অনলাইন প্রফেশনাল হিসেবে একটা জিনিস সবাইকে জানানো আমার দায়িক্ত মনে করে পোস্টটা লেখছি। আপনি যদি সাধারণ কোনো অনৈতিক বা ইসলামিক নিয়ম লঙ্ঘন না করে অনলাইন এ কাজ করেন, তবে ফ্রিল্যান্সিংকে ১০০% হালাল বলা চলে, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই।

তবে আমার মনে হয় অনেকেই না জেনে একটি ভুল করে যাচ্ছি আমাদের ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে। ব্যাপারটি আসলে সুদ, সুদ হারাম সেটা তো আমরা সবাই জানি, এবং এটি খুব জঘন্য একটি গুনাহ ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, তাও আমরা জানি। আমাদের ডলার আমরা পেপাল, পেওনার যে মাদ্ধমেই নিয়ে থাকিনা কেন, আল্টিমেটলি টাকা আমরা ব্যাংক এর মাধ্যমেই পেয়ে থাকি, এবং ব্যাংক আপনাকে বাই ডিফোল্ট সুদ দেয়, যা আপনি হয়তো জানেনই না! সুতুরাং আপনি যদি ম্যানুয়ালি এই ইন্টারেস্ট এর অপসন টা বন্ধ না করেন তবে আপনি নেচারালি আপনার একাউন্ট এর জমা থাকা টাকার সুদের অংশ পাচ্ছেন।

সম্ভব হলে এটি বন্ধ করে দিন, আপনি হিসাব করলে বুঝতে পারবেন, ব্যাংক যে আপনাকে খুব বেশি ইন্টারেস্ট দিচ্ছে তা না। যা দিচ্ছে তাতে আপনার এমন কোনো আহামরি লাভ হচ্ছে না, মাঝে দিয়ে আপনি জঘন্য গুনাহার ভাগি হচ্ছেন। এবং প্রকৃতপক্ষে আপনার হারাম উপার্জন এর উপর আল্লাহর রহমত না থাকায় কোনো না কোনো ভাবে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

যে কোনো ব্যাংক একাউন্ট করার সময় দায়িক্তরত কর্মকর্তাকে বলুন আপনি সুদ-মুক্ত একাউন্ট করতে চাচ্ছেন। অথবা আপনার এক্সিস্টিং একাউন্ট থাকলে শাখায় যোগাযোগ করলেই হবে। কল করলেও হতে পারে, আমি সবগুলো একাউন্ট করার সময়ই করেছিলাম তাই কল এর বিষয়টা নিশ্চিত বলতে পারবো না, কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

আরো একটি বিষয় হলো আপনার বিকাশ একাউন্ট এ জমা টাকাতেও কিন্তু আপনি সুদ পেয়ে থাকেন, আপনি চাইলে একটি কল করে ১ মিনিটেই এটি বন্ধ করতে পরনে, এ বিষয়ে ইউটুবেও টিউটোরিয়াল পাবেন।

#হ্যাপি #ফ্রিল্যান্সিং

Comments

Popular posts from this blog

Upwork Support Online Chat

Shakil Ahamed Official Blog